বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের অবৈধ বিক্রি একটি ক্রমবর্ধমান সমস্যা। এই ফোনগুলি প্রায়শই ট্যাক্স বা শুল্ক পরিশোধ ছাড়াই আমদানি করা হয়, যা তাদের বৈধভাবে আমদানি করা ফোনের তুলনায় অনেক কম দামে বিক্রি করার অনুমতি দেয়। এটি দেশীয় মোবাইল ফোন উত্পাদন শিল্পে একটি পতনের দিকে পরিচালিত করেছে, কারণ গ্রাহকরা ক্রমবর্ধমানভাবে অবৈধভাবে আমদানি করা ফোন কিনতে পছন্দ করছেন৷
বৈধ এবং অবৈধভাবে আমদানি করা ফোনের দামের পার্থক্য উল্লেখযোগ্য হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একটি Samsung A-54 মডেলের ফোনের দাম একটি স্যামসাং শোরুমে 59,999 টাকা, একই ফোনটি একটি অনানুষ্ঠানিক দোকানে 38,000 টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। অবৈধভাবে আমদানি করা ফোনের মূল্য সংযোজন কর (মুসাক) বা শুল্ক দিতে হয় না বলেই দামের এই পার্থক্য।
অবৈধ মোবাইল ফোনের বাজার ধরা হয় ছয় হাজার কোটি টাকা। এই বাজারে কিছু বড় আমদানিকারকদের আধিপত্য রয়েছে, যারা কম খরচে প্রচুর পরিমাণে ফোন আনতে সক্ষম। এই আমদানিকারকরা তখন খুচরা বিক্রেতাদের কাছে ফোন বিক্রি করে, যারা লাভে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করে।
অবৈধ মোবাইল ফোনের বাজার দেশীয় মোবাইল ফোন উৎপাদন শিল্পের জন্য হুমকিস্বরূপ। দেশীয় নির্মাতাদের তাদের ফোনে ট্যাক্স এবং শুল্ক দিতে হয়, যা তাদের পণ্যগুলি অবৈধভাবে আমদানি করা ফোনের চেয়ে বেশি ব্যয়বহুল করে তোলে। এটি দেশীয় নির্মাতাদের জন্য অবৈধ বাজারের সাথে প্রতিযোগিতা করা কঠিন করে তোলে।
গার্হস্থ্য মোবাইল ফোন উত্পাদন শিল্পে পতনের নেতিবাচক ফলাফল রয়েছে। প্রথমত, এটি উত্পাদন খাতে চাকরি হারানোর দিকে পরিচালিত করে। দ্বিতীয়ত, এটি মোবাইল ফোনের ট্যাক্স এবং শুল্ক থেকে সরকার যে রাজস্ব সংগ্রহ করে তা হ্রাস করে। তৃতীয়ত, ভোক্তাদের জন্য উচ্চ-মানের মোবাইল ফোন অ্যাক্সেস করা আরও কঠিন করে তোলে।
অবৈধ মোবাইল ফোন আমদানির সমস্যা সমাধানে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। এটি করার একটি উপায় হবে অবৈধভাবে ফোন আমদানির জন্য জরিমানা বাড়ানো। সরকার আমদানিকারকদের জন্য প্রচুর পরিমাণে ফোন আনতে আরও কঠিন করে তুলতে পারে। উপরন্তু, সরকার দেশীয় মোবাইল ফোন নির্মাতাদের অবৈধ বাজারের সাথে প্রতিযোগিতায় সহায়তা করার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করতে পারে।
মোবাইল ফোনের অবৈধ বিক্রয় একটি গুরুতর সমস্যা যা সমাধান করা দরকার। সরকারকে দেশীয় মোবাইল ফোন উৎপাদন শিল্পকে রক্ষা করতে পদক্ষেপ নিতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যে গ্রাহকরা সঠিক কর ও শুল্ক প্রদান করছেন।