প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যাওয়ার সময় বিমানবন্দরে গ্রেফতার
পিপলস ব্যাংকের প্রস্তাবিত চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম যুক্তরাষ্ট্রে পালানোর চেষ্টাকালে বুধবার রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেফতার হন।
মানি লন্ডারিং মামলায় কাশেমকে বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার পর বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং সিআইডি আদালতে রিমান্ডের আবেদন করে। বিচারক রিমান্ড মঞ্জুর করে কাশেমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মানি লন্ডারিং মামলায় যাদের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তারা হলেন আলেশা মার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মনজুর আলমের স্ত্রী সাদিয়া চৌধুরী এবং আলেশা মার্টে মোটরসাইকেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এসকে ট্রেডার্সের মালিক আল মামুন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালক পদ পেতে এবং শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য মনজুর আলম কাশেমকে ১০০ কোটি টাকা দেন।
কাশমের গ্রেপ্তার মানি লন্ডারিং মামলায় একটি বড় অগ্রগতি, এবং এটি আরও তদন্তের দিকে নিয়ে যেতে পারে। মামলাটি অর্থ পাচার প্রকল্পে রাজনৈতিক নেতাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।
এখানে কিছু অতিরিক্ত বিবরণ আছে:
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মানি লন্ডারিং মামলাটি দায়ের করে।
দুদকের অভিযোগ, মনজুর আলম আলেশা মার্টের মাধ্যমে এক হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন।
আলেশা মার্ট একটি ই-কমার্স কোম্পানি যা মনজুর আলম এবং তার ছেলে মইনুল আলম দ্বারা প্রতিষ্ঠিত।
সংস্থাটির বিরুদ্ধে নকল পণ্য বিক্রি এবং গ্রাহকদের কাছে পণ্য সরবরাহ করতে ব্যর্থতার অভিযোগ রয়েছে।
মানি লন্ডারিং মামলায় মইনুল আলমকেও গ্রেপ্তার করেছে দুদক।
আবুল কাশেমকে গ্রেপ্তার করা মামলায় একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি, এবং এটি আরও তদন্তের দিকে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মামলাটি অর্থ পাচার প্রকল্পে রাজনৈতিক নেতাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।