তিতাস নদী বাংলাদেশের একটি প্রধান নদী। এটি প্রায় 98 কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে উৎপন্ন। নদীটি মেঘনা নদীতে মিশে যাওয়ার আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা ও চাঁদপুর জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়।
তিতাস নদী সেচ, পানীয় এবং শিল্প ব্যবহারের জন্য পানির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এটি একটি প্রধান পরিবহন পথও বটে। নদীটি মাছ, পাখি এবং স্তন্যপায়ী প্রাণী সহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল।
তিতাস নদী একটি উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক নিদর্শন। এটি হিন্দু মহাকাব্য মহাভারতে উল্লেখ করা হয়েছে এবং এটি অনেক কবিতা, গান এবং গল্পের বিষয়বস্তু হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, তিতাস নদী দূষণ, বন উজাড় এবং জলবায়ু পরিবর্তন সহ বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। এই চ্যালেঞ্জগুলো নদীর ইকোসিস্টেম এবং বাংলাদেশের জনগণকে প্রয়োজনীয় সেবা প্রদানের ক্ষমতাকে হুমকির মুখে ফেলছে।
তিতাস নদী রক্ষায় অনেক কিছু করা যেতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে দূষণ কমানো, গাছ লাগানো এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো। একসাথে কাজ করার মাধ্যমে, আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে তিতাস নদী আগামী বহু বছর ধরে বাংলাদেশের পরিবেশ ও অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে থাকবে।
এখানে তিতাস নদী সম্পর্কে কিছু অতিরিক্ত তথ্য রয়েছে:
* নদীর কাছে অবস্থিত তিতাস গ্যাসক্ষেত্রের নামানুসারে নদীর নামকরণ করা হয়েছে।
* নদীটি প্রাচীন সোনারগাঁ শহরের ধ্বংসাবশেষ সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থানের আবাসস্থল।
* নদীটি মাছ ধরা, সাঁতার কাটা এবং নৌকা চালানোর জন্য একটি জনপ্রিয় গন্তব্য।
* নদী জলবিদ্যুতের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।
তিতাস নদী বাংলাদেশের প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নদী রক্ষায় কাজ করা জরুরি।