মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৪৯ অপরাহ্ন

ইসলাম শান্তি ও সহনশীলতা প্রচার করে

প্রতিনিধির নাম / ২২৬ বার
আপডেট : বুধবার, ৩১ মে, ২০২৩

শান্তি ও সহিষ্ণুতার ধর্ম। ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ কোরান শিক্ষা দেয় যে সমস্ত মানুষ ঈশ্বরের দৃষ্টিতে সমান, তাদের জাতি, ধর্ম বা জাতীয়তা নির্বিশেষে। মুসলমানদেরকে সকল মানুষের প্রতি সদয় ও সহানুভূতিশীল হতে বলা হয়, এমনকি যারা তাদের থেকে আলাদা তাদেরও।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইসলামের নামে সহিংসতার কিছু হাই-প্রোফাইল ঘটনা ঘটেছে। তবে এসব ঘটনা ইসলামের প্রকৃত শিক্ষার প্রতিনিধিত্ব করে না। মুসলমানদের বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ শান্তিপ্রিয় এবং আইন মেনে চলা নাগরিক যারা তাদের প্রতিবেশীদের সাথে মিলেমিশে বসবাস করা ছাড়া আর কিছুই চায় না।

বিশ্বে শান্তি ও সহনশীলতার প্রচারে মুসলিমদের কাজ করার অনেক উদাহরণ রয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ, ইসলামিক রিলিফ ইউএসএ হল একটি মানবিক সংস্থা যা ধর্ম বা জাতীয়তা নির্বিশেষে অভাবী লোকদের খাদ্য, আশ্রয় এবং চিকিৎসা সেবা প্রদান করে। সংস্থাটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যুদ্ধ এবং দারিদ্রের শিকার সহ বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে সাহায্য করেছে।

মুসলমানদের শান্তির জন্য কাজ করার আরেকটি উদাহরণ হল ইন্টারফেইথ পিস ইনিশিয়েটিভ। এই সংগঠনটি বিভিন্ন ধর্মের লোকদের একত্রিত করে শান্তি ও বোঝাপড়ার প্রচারের জন্য একসাথে কাজ করার জন্য। সংগঠনটি অসংখ্য আন্তঃধর্মীয় ইভেন্ট এবং কর্মশালা আয়োজনে সহায়তা করেছে এবং এটি বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন কিছু দ্বন্দ্ব সমাধানে ভূমিকা পালন করেছে।

শান্তি ও সহনশীলতার জন্য মুসলমানদের কাজ করার উদাহরণ অফুরন্ত। এই ব্যক্তি ও সংস্থাগুলি ইসলামের প্রকৃত শিক্ষার প্রমাণ, যা সকল মানুষের জন্য শান্তি ও সহনশীলতা প্রচার করে।

ইসলাম কীভাবে শান্তি ও সহনশীলতাকে উৎসাহিত করে তার আরও কিছু নির্দিষ্ট উদাহরণ এখানে দেওয়া হল:

কুরআন শিক্ষা দেয় যে সমস্ত মানুষ ঈশ্বরের দৃষ্টিতে সমান, তাদের জাতি, ধর্ম বা জাতীয়তা নির্বিশেষে।

কুরআন শিক্ষা দেয় যে মুসলমানদের উচিত সকল মানুষের প্রতি সদয় ও সহানুভূতিশীল হওয়া, এমনকি যারা তাদের থেকে আলাদা তাদেরও।

কোরান শিক্ষা দেয় যে সহিংসতা কখনই উত্তর নয়, এবং সর্বদা শান্তি চাওয়া উচিত।

মুসলমানদের তাদের ধর্ম বা জাতীয়তা নির্বিশেষে প্রয়োজনে সাহায্য করার জন্য উত্সাহিত করা হয়।

মুসলমানদের সকল মানুষের জন্য ন্যায়বিচার ও সমতার জন্য কাজ করতে উৎসাহিত করা হয়।

ইসলাম কিভাবে শান্তি ও সহিষ্ণুতা প্রচার করে তার কয়েকটি উদাহরণ মাত্র। কুরআনের শিক্ষা অনুসরণ করে মুসলমানরা বিশ্বে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে এবং আরও শান্তিপূর্ণ ও ন্যায়পরায়ণ সমাজ গঠনে সহায়তা করতে পারে।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ

Archives